শুক্রবার নৈশালোকের আলোয় নিজেদের ঘরের মাঠে দুর্বল রেলওয়েজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে কোলকাতা লীগে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল মোহনবাগান ক্লাব! মোহনবাগানের হয়ে গোল তিনটি করেছেন যথাক্রমে লিংডো, বেটন কামো এবং শিল্টন ডি সিলভা। পড়ে নিন ম্যাচের ম্যাচ রিপোর্ট……
আজকের রেলওয়েজ ম্যাচ এবং গতদিনের সার্দান ম্যাচের সাথে খুব একটা পার্থক্য ছিল না মোহনবাগানের খেলায়। দুটো ম্যাচেই প্রথমার্ধের খেলার ফলাফল ছিল গোলশুন্য, দ্বিতীয়ার্ধে নৈশালোকের আলোয় উইং ফুটবল শুরু হতেই খুললো গোলের রাস্তা! সব থেকে আশ্চর্যের দুই ম্যাচের খেলার ফলাফলও সমান এবং দুই ম্যাচেই তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেছেন পরিবর্ত খেলোয়াড় শিল্টন ডি সিলভা! আগের ম্যাচে স্কোরার ছিলেন ক্রোমা আর এই ম্যাচে গোল করেছেন কামো তবে গোল না পেলেও দুই ম্যাচেই নজড় কেড়েছেন আইজল থেকে মোহনবাগানে আসা কিংসলে! আজ মোহনবাগান টিম লিস্ট ঘোষনা করলে দেখা যায় চোটের জন্যে খেলবেন কিনা ধোয়াশা কাটিয়ে দলে রয়েছেন আগের ম্যাচের নায়ক ক্রোমা! তবে ম্যাচের প্রথমার্ধ বিশেষ ঘটনাবহুল ছিল না, ফলাফল ছিল ০-০। মোহনবাগান নিজেদের মধ্যে বল পজিশন বেশি রেখে ছোট ছোট পাস খেললেও একবারও রেলের সিগন্যাল ভাঙতে সক্ষম হয়নি! তবে প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে অমিত সামন্ত লাল কার্ড দেখলে রেল হয়ে যায় ১০ জনের!
Also Read: SAFF U-15 Championship 2017 Live Streaming: India Vs Maldives
এরপরে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের রেলকে চেপে ধরে মোহনবাগান, ফ্লাডলাইটের আলোতে খোলে মোহনবাগান এর দুই উইংয়ের উইং প্লে আর তাতেই কেল্লাফতে! ৬২ মিনিট পর্যন্ত ১০ জনের রেল শংকরলাল চক্রবর্তীর দলকে আটকে রাখলেও ৬৩ মিনিটে গিয়ে কিংসলে এর হাওয়ায় বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চেস্টারপল লিংডো। এর কিচ্ছুক্ষন পরে কোচ আগের ম্যাচের হিরো ক্রোমাকে তুলে নিয়ে নামান তরুন শিল্টন ডি সিলভাকে। শিলটন নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই ৭৮ মিনিটে ডান পায়ের দুরন্ত শটে রানাকে পরাস্ত করে খেলার ফলাফল ২-০ করেন বিদেশি বেটন কামো। এইসময় বিশেষ কিছু করতে পারেনি দশ জনের রেল, তারা শুধুই অপেক্ষা করতে থাকে শেষ বাশি বাজার! তবে ইদানিং যেন অতিরিক্ত সময়ে গোল ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে কোলকাতা লীগে, সব কটা বড় ম্যাচেই অতিরিক্ত সময়ে গোল করছেন কোনও না কোনও খেলোয়াড়। আর সেই ধারা অব্যাহত রেখেই আজ ৯২ মিনিটে গোল করলেন সেই শিল্টন ডি সিলভা, এই নিয়ে তার গোল দাড়াল দুই ম্যাচে দুই গোল।
এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৬ গোলের সাথে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহবাগান চলে গেল লীগটেবিলের শীর্ষস্থানে, গোলপার্থক্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে পিছনে ফেলে। তবে মোহনকোচকে যে ব্যাপারটা সব থেকে বেশি স্বস্তি দেবে তা হল দুই ম্যাচে তার দলের কোনও গোল হজম না করা।
Nice